রাশিয়ার সরকার সিরিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি হয় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বিপন্ন হয়, এমন কোন পদক্ষেপ না নিতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা প্রধানদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র এই মন্তব্য করেন।
সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক অস্ত্র হামলার কি জবাব দেয়া যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তারা সে ব্যাপারে সুপারিশ করবেন।
হোয়াইট হাউস বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডুমার ওই ঘটনার জন্য সিরিয়ার সরকারের মিত্র রাশিয়া ও ইরানকে দায়ী করেছেন এবং বলেছেন যে এর জবাব দেয়ার জন্য সব বিকল্পই বিবেচনা করা হবে।
ব্রিটিশ সরকারও বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে যে সিরিয়ায় ওপর সম্ভাব্য আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সাথে তারাও অংশ নেবে কিনা।
এ প্রেক্ষাপটেই রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, সামরিক পদক্ষেপের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করছেন।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষ থেকে যে বিবৃতিগুলো আসছে রাশিয়া তার ওপর নজর রাখছে।
“আমরা এখনো মনে করি যে সিরিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এমন কোন পদক্ষেপ এড়ানোটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে সিরিয়ায় সমস্যা নিষ্পত্তির পুরো প্রক্রিয়াটির ওপরই এটা এক ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে।”
উল্লেখ্য, সিরিয়ার ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় মার্কিন ও রুশ সৈন্য সক্রিয় আছে।
বিবিসির সংবাদদাতা সারা রেইন্সফোর্ড প্রশ্ন করেছিলেন, সিরিয়ায় কোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে যাতে সেখানে মোতায়ের রুশ সৈন্যরা হতাহত না হয় সেই সীমারেখা কিভাবে রক্ষিত হবে?
জবাবে মি. পেসকভ বলেন, এই সীমারেখা আছে এবং তা সক্রিয় আছে।
তবে এখন পর্যন্ত মি. ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলার ব্যাপারটা ভ্লাদিমির পুতিনের এজেন্ডায় নেই।
অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, যে কথিত রাসায়নিক আক্রমণের পর তার দেশে আক্রমণের হুমকি দেয়া হচ্ছে তা ‘মিথ্যার ওপর’ ভিত্তি করে তৈরি।
এই প্রথম প্রেসিডেন্ট আসাদকে এ নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গেল।
দামেস্কের পূর্বদিকে যা বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি ছিল, সেই দুমা শহরে এখন সিরিয়ার পতাকা উড়ছে। রাশিয়ার সামরিক পুলিশ শহরে টহল দিচ্ছে।
তার আগে আসাদ-বিরোধী যোদ্ধারা এক চুক্তির অধীনে দুমা ছেড়ে চলে যায়।
বাশার আসাদের জন্য এটি এক বড় বিজয়, কিন্তু দুমায় কথিত রাসায়নিক অস্ত্র হামলা তাকে নতুন সংকটের মুখোমুখি করে তুলেছে।
সরকার এ হামলার কথা অস্বীকার করছে, কিন্তু পশ্চিমা শক্তিগুলো দিচ্ছে পাল্টা হামলার হুমকি ।
সূত্র, বিবিসি